
প্রকাশিত: Thu, Jan 12, 2023 7:18 AM আপডেট: Sun, May 11, 2025 3:29 AM
সেক্টর কমান্ডার বীর উত্তম এ.টি.এম হায়দারের জন্মদিন, মুক্তিযুদ্ধে ২ নম্বর সেক্টরের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি
আশিক
নূরী : [১] আবু তাহের
মোহাম্মদ হায়দার (এ.টি.এম
হায়দার নামে অধিক পরিচিত) ছিলেন একজন বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা, যিনি প্রথমে ২নং সেক্টরের সহ-অধিনায়ক ও
পরে সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। একজন গেরিলা কমান্ডার হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অভূতপূর্ব অবদান রাখার জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। [২] এ.টি.এম হায়দার ১৯৪২
সালের ১২ জানুয়ারি কলকাতার
ভবানীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মোহাম্মদ ইসরাইল ও মা হাকিমুন
নেসা ছিলেন একজন গৃহিনী। হায়দার স্কুল জীবন শুরু করেন পাবনার বীণাপানি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরে কিশোরগঞ্জ রামানন্দ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ছাত্রজীবন থেকেই হায়দার একজন ভালো খেলোয়াড়, সাতারু ও স্কাউট ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রথম পর্ব পড়াকালীন সেনাবাহিনীতে ভর্তির জন্য আবেদন করেন এবং পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে কমিশনের জন্য মনোনীত হন। [৩]
বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) সেনাবাহিনীর প্রথম কমান্ডো ব্যাটেলিয়নের কর্মকর্তা হায়দার কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে পালিয়ে ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধে
যোগ দেন। ৭ অক্টোবর খালেদ
মোশাররফ নিয়মিত ব্রিগেড় ‘কে’
ফোর্সের কমান্ড গ্রহণ করলে তিনি সেক্টর অধিনায়কত্ব লাভ করেন। ১৪ ডিসেম্বর তিনি
সেক্টর-২ এবং এর
রাজনৈতিক উপদেষ্টার, আর কে চৌধুরীর
সঙ্গে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। জনতা তাকে নিয়ে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় আনন্দ করে। তিনি মুক্তিযুদ্ধে বীর প্রতীক খেতাব পান।
১৬ ডিসেম্বর পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন। ওইদিন প্রথম ঢাকা বেতারে ও টিভি থেকে ঘোষণাপাঠ করেন- ‘আমি মেজর হায়দার বলছি, মুক্তিবাহিনীর প্রতি নির্দেশ’। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৩ সালে তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করেন। স্বাধীন দেশে মেজর হায়দার কুমিল্লা সেনানিবাসে ১৩ ইস্টবেঙ্গল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৪ সালে তিনি লেফটেনেন্ট কর্নেল পদে উন্নীত হন ও চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ৮ম বেঙ্গলের কমান্ডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এ.টি.এম হায়দার ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর নিহত হন।
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
